by admin | Nov 19, 2018 | blog
“খোড়ার গিরি লংঘন” কথাটি প্রবাদ বাক্য বলা হয়। কেননা যে খোঁড়া বা আঁতুর সে কোন দিন পাহাড় পর্বত অতিক্রম করতে পারে না। এমনকি শক্ত-সমর্থ লোকও গিরি বা পাহাড় পর্বত অতিক্রম করতে সাহস পায় না।
এ উক্তিটি শ্রদ্ধেয় বনভান্তে জনৈকা উপাসিকার উদ্দেশ্যেই করেছিলেন। উক্ত উপাসিকা বলেছিলেন- আমার যদি লক্ষ লক্ষ টাকা থাকতো আমি বন বিহারের উন্নতি কল্পে ব্যয় করতাম। বনভান্তে বললেন- ঠিক কথা, তোমার মত খোঁড়ারাও বলে- আমার যদি পা স্বাভাবিক থাকতো, আমিও পর্বত বা গিরি লংঘন করতাম (এ কথাটা বলার পর আমরা হেঁসে উঠি)।
ইহার অর্থ হল- যে ইহ জন্মে খোঁড়া সে পূর্ব জন্মে অকুশল কর্ম বা পাপ কর্মের ফলে খোঁড়া হয়েছে, আর যে ভাল, ধরতে হবে সে পূর্ব জন্মে পূণ্যকর্ম করে স্বাভাবিক হয়েছে।
অন্যদিকে দেখা যায় কেহ কেহ ধনাঢ্য বা সম্পদশালী। তারা পূর্ব জন্মে দান, শীলাদি পালন করে সম্পদশালী হয়েছে। ইহাও সুকর্মের ফল। অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তির মধ্যে দেখা যায় কেহ কেহ পূণ্য কর্ম করে, আর কেহ কেহ পূণ্য কর্ম করে না। যারা পূণ্য কর্ম করে তারা ভবিষ্যৎ জন্মের জন্য সম্পদ গচ্ছিত রাখে। আর যারা পূণ্য কর্ম করে না তারা পূর্ব জন্মের ফল ভোগ করে এবং ভবিষ্যতের জন্য সম্পদ গচ্ছিত রাখে না।
মহৎ পূণ্য কর্ম করতে হলে দুটি জিনিসের দরকার। তা হল, পূর্ব জন্মের জমাকৃত সম্পদ ও ইহ জন্মের স’দিচ্ছা। এখন কথা হচ্ছে, কারো সদিচ্ছা আছে কিন্তু সম্পদ নেই এখানেই সেই ব্যক্তি এক প্রকার খোঁড়া বিশেষ। যদি কারো পূণ্যকর্ম করতে ইচ্ছা থাকে তবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী পূণ্যকর্ম করে যাওয়া উচিত। পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তি অফুরন্ত পূণ্যের ফল ভোগ করতে পারবে। দান করাও এক প্রকার বাঁধা। কেননা দান করলে দানের ফল ভোগ করতে হয়। ভোগ করাও দুঃখজনক। ত্যাগই পরম সুখ। ত্যাগ করা মহাকঠিন। ত্যাগ বলতে- লোভ, হিংসা, অজ্ঞানতা, মিথ্যাদৃষ্টি, মান, সন্দেহ, শীলব্রত পরামর্শ প্রভৃতিকে বুঝায়। যতদিন পর্যন্ত অবিদ্যা-তৃষ্ণা বিদ্যমান থাকবে ততদিন পর্যন্ত আসল সুখ কি তা বুঝা কঠিন।
আর একদিন শ্রদ্ধেয় বনভান্তে আর এক জন উপাসিকার উদ্দেশ্যেই একই উক্তি করেছিলেন। উপাসিকা বলেছিলেন- ভিক্ষু-শ্রামণ বন বিহার থেকে রংবস্ত্র ছেড়ে চলে গেলে আমার বড়ই দুঃখ লাগে। আমি যদি পুরুষ হতাম সারাজীবন বনভান্তের নির্দেশ অনুযায়ী চলতাম।
বনভান্তে উদাহরণ স্বরূপ বলেন- কোন লোক ব্যবসা করতে হলে প্রথমে তার সঞ্চিত টাকার প্রয়োজন। দ্বিতীয়তঃ তার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। তৃতীয়তঃ তার কঠোর কর্ম প্রচেষ্ঠার প্রয়োজন। এ তিনটির সমন্বয়ে সে তার ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবে। ঠিক তেমনি ভিক্ষু-শ্রামণের বেলায়ও তাই। যেমন পূর্বজন্মের অফুরন্ত পূণ্য পারমী, ইহ জন্মের অক্লান্ত অধ্যবসায় বা প্রচেষ্ঠা এবং ভগবান বুদ্ধের আবিষ্কৃত আর্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা পথে চললে ভিক্ষু-শ্রামণ সফলকাম হতে পারে। উক্ত উপাসিকা বনভান্তের ধর্মদেশনা শ্রবণ করে বনবিহার থেকে ভিক্ষু-শ্রামণ রংবস্ত্র ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ অনুধাবন করে দ্বিধামুক্ত হন।
#লেখাটি Subrata Barua https://www.facebook.com/subrata.barua.9655 কর্তৃক পোস্ট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে
by admin | Nov 11, 2018 | blog
২৭ শে ডিসেম্বর ৯৩ ইং রাত ৮টা। শ্রদ্ধেয় বনভান্তে উপোসথ পালনকারীদের প্রতি ধর্মদেশনা দিচ্ছিলেন। এমন সময় জনৈক যুবক ভিক্ষু কাঁদতে কাঁদতে বন্দনা করলেন। বনভান্তে জিজ্ঞাসা করলেন- কি হলো তোমার? কোন অসুখ হয়েছে নাকি? অন্য ভিক্ষু বললেন- ভান্তে, তার ভাই এসেছে। তাকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও যেতে হচ্ছে।এবার আমাদের প্রতি লক্ষ্য করে বলেন- সে প্রথমেই পরীক্ষায় ফেল করে ফেললো। নির্বাণ লাভ করার আগে কি কাজ করতে হবে জান? প্রথমেই দশবিধ বন্ধন ছিন্ন করতে হবে। দশবিধ বন্ধন হল- মা, বাপ, ভাই, বোন, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, আধিপত্য, লাভ-সৎকার ও দেশ। এগুলির মায়া-মমতা ত্যাগ করা মহাকঠিন ব্যাপার। তিনি নিজেকে উদাহরণ দিয়ে বলেন- আমি যদি এগুলি ছিন্ন না করতাম আজকে তোমাদের মধ্যে এমন থাকতাম না। অন্যান্য লোকের মত নানাবিধ দুঃখ কষ্টের মধ্যে কাল যাপন করতে হতো।ভগবান বুদ্ধ শাক্য রাজ্যের সিংহাসন, বিপুল ধন, ঐশ্বর্য, মায়ার বন্ধন রাহুল ও গোপাকে ছেড়ে নির্বাণের পথে ধাবিত হয়েছিলেন। এগুলিকে তুচ্ছ, হীন, দুঃখ ও অসার মনে করেছিলেন।দশবিধ বন্ধন ছিন্ন করলে শুধু চুপ করে বসে থাকলে হবে না। কামজয় করতে হবে। কামজয়ের মধ্যে প্রথমে নারীর প্রতি আসক্তি ত্যাগ। দ্বিতীয়তঃ পঞ্চ ইন্দ্রিয় সংযম করতে হবে। রূপ, রস, শব্দ, গন্ধ ও স্পর্শের প্রতি সর্বদা অনাসক্তভাবে থাকতে হবে। তিনি জোড় তিয়ে বলেন- নারী-পুরুষ ও পঞ্চকাম হতে অনন্ত দুঃখের সৃষ্টি হয়। সামান্য ইতর প্রাণী হতে দেব ব্রহ্মা পর্যন্ত হয়। আবার দেব ব্রহ্মা হতে নীচতর প্রাণী হওয়া কত যে দুঃখ কষ্ট সহিতে হয় তার কোন পরিসমাপ্তি নেই। কামজয় হলে মুক্তির পথ আরো একটু সুগম হয়।পাঁচ প্রকার মার- ক্লেশমার, স্কন্ধমার, অভিসংস্কারমার, মৃত্যুমার ও দেবপুত্রমার। এগুলিকে জয় করতে না পারলে মুক্তির পথ বন্ধ থাকে। দেবপুত্র মার সম্বন্ধে তিনি নাটকীয় ভঙ্গিমায় বলেন- “হে সিদ্ধার্থ, মায়ার বন্ধন রাহুল- গোপাকে ফেলে তুমি চোরের মত পালিয়ে এসেছ”। পুনরায় ফিরে যাও বাড়িতে। দেবপুত্র মার স্বয়ং সম্যক সম্বুদ্ধকে পর্যন্ত বিভিন্ন বাঁধার সৃষ্টি করেছিল। অন্যলোকের কথায় বা কি?তিনি বলেন- নিজেকে যে জয় করেছে সেই প্রকৃত জয়ী। নিজ কি? আমি কি? কেউ কেউ বলে রামচন্দ্র, শ্যামচন্দ্র প্রভৃতি থেকে নিজ বা আমি’র উৎপত্তি। কেউ কেউ বলে রূপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার, বিজ্ঞান হতে নিজ বা আমি’র উৎপত্তি। সাধারণের মতে আমি সত্য, স্থায়ী ও ধ্বংস হয় না। জন্মে জন্মে ঘুরে ঘুরে থেকে যায়। তাদের মতে এগুলিকে আত্মাও বলে।শ্রদ্ধেয় বনভান্তে বলেন- এগুলির সমন্বয়ে নিজ, আমি ও আত্মার সৃষ্টি হয়। তা কিছু নয়। যেখানে আমি’র উৎপত্তি সেখানে অহংকারের (মান) উৎপত্তি, মান উৎপত্তি হলে ধর্মচক্ষু ও ধর্মজ্ঞান উৎপত্তি হয় না। তারা জন্মান্ধ। জন্মান্ধ ব্যক্তি যা ধারণা করে তা মুখে ব্যক্ত করে। তা আবার সত্যেও পরিণত করতে চায়।মান সাধারণতঃ তিন প্রকার। আমি শ্রেষ্ঠ, আমি সমান ও আমি অধম। আবার এগুলিকে তিনগুণ করলে নয় প্রকার হয়। এ নয় প্রকার মান এর জন্যে মানুষ জন্মে জন্মে মুক্তি পায় না।তিনি দেশনায় বলেন- এগুলি আমি নয়, আমার নয় ও আমার আত্মাও নয়। শুধু ভ্রান্ত ধারণা। অনিত্য, দুঃখ ও অনাত্ম ছাড়া আর কিছুই নয়। এ মান অনাগামী পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে। অতএব মান জয় করাই প্রকৃত জয় ও পরম সুখ।তিনি উপসংহারে বলেন- মনুষ্য জন্মে যে দু’টির মধ্যে একটিও লাভ করতে পারবেনা তার জন্ম বৃথা। প্রথমটি হল বুদ্ধ অথবা বুদ্ধের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ লাভ এবং অন্যটি হল চারি আর্যসত্য লাভ।
#লেখাটি Subrata Barua https://www.facebook.com/subrata.barua.9655 কর্তৃক পোস্ট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে
by admin | Nov 7, 2018 | blog
৬ই অক্টোবর ১৯৯৬ ইংরেজী রবিবার। ভোর বেলায় শ্রদ্ধেয় বনভান্তে তাঁর ধ্যান কুঠিরের উপরের তলায় ধর্ম দেশনা দিচ্ছিলেন। তিনি প্রথমেই বলেন- সাধারণ ব্যক্তি ধন কামনা, পুত্র কামনা, বিবিধ জিনিস কামনা, রাষ্ট্র কামনা এবং আপন সমৃদ্ধির জন্য কামনা করে থাকে। কিন্তু তা ঠিক নয়। যারা জ্ঞানী ও মুক্ত হতে ইচ্ছুক তাঁরা কিছুই কামনা করেন না। তাঁরা তিন প্রকার জ্ঞানের অধিকারী হতে চান। সত্যজ্ঞান, কৃত্যজ্ঞান ও কৃতজ্ঞান। সত্যজ্ঞান হল দুঃখে জ্ঞান, দুঃখ সমুদয়ে জ্ঞান, দুঃখ নিরোধে জ্ঞান ও দুঃখ নিরোধ গামিনী পটিপদায় জ্ঞান। কৃত্যজ্ঞান হল- যা কিছু কুশলাকুশল ধর্ম আছে তা ভাল ভাবে জানা এবং লোভ, দ্বেষ, মোহ ধর্মের উৎপত্তি, বিদ্যমানতা সম্বন্ধে যথার্থরূপে অবগত হওয়া। কৃতজ্ঞান হল যা কিছু মিথ্যাধর্ম আছে যা ত্যাগের উপযুক্ত অর্থাৎ কত পরিমাণ লোভ, দ্বেষ, মোহ গ্রহীন রয়েছে এবং যা ভবিষ্যতে উৎপত্তি হতে পারবে না সে সম্বন্ধে যথার্থরূপে (সম্যকভাবে) অবগত হওয়া। সার ৬ প্রকার, কি কি? যথা- শীল সার, সমাধি সার, প্রজ্ঞা সার, বিমুক্তি সার, বিমুক্তি জ্ঞান দর্শন সার ও পরমার্থ সার। তিনি বলেন- যদি তোমরা সুখ চাও তবে তোমাদেরকে বিচক্ষণ হতে হবে। যদি বিচক্ষণ হতে পার, তাহলে দুঃখের মাঝখান হতে সুখ আপনা আপনিই চলে আসবে। কামনা বাসনা বিজয়ী জ্ঞানী ব্যক্তি সত্য ধর্মের সন্ধান পেয়ে অপরের বৃথা কথায় কর্ণপাত করেন না। যেমন বড় সেগুন গাছ (মাঝখানে) পোকায় খেতে পারে না। তেমন জ্ঞানী ব্যক্তিও মিথ্যা ধর্মে কলুষিত হন না। উপরোক্ত ৬ প্রকার সার কোন দিন ধ্বংস হয় না। তাহলে তোমরা কি ধর্ম করবে? নিজ ধর্ম, সত্য ধর্ম ও নির্বাণ ধর্ম। পর ধর্ম, মিথ্যা ধর্ম ও পাপ ধর্ম করবে না। সারকে সার বলতে হবে এবং অসারকে অসার বলতে হবে। যেমন বাঁশকে বাঁশ ও গাছকে গাছ বলতে হবে। উল্টা পাল্টা যেন না হয়। ত্যাগের যোগ্য ত্যাগ কর। গ্রহণের যোগ্য গ্রহণ কর। তবে গ্রহণে অনাসক্ত থাকতে হবে। গ্রহণের যোগ্য এবং গ্রহণের অযোগ্য জিনিস সম্বন্ধে তিনি বলেন- ভিক্ষু চারি প্রত্যয় ছাড়া নিত্য ব্যবহার্য বস্তু গ্রহণ করতে পারে না। গ্রহণের অযোগ্য বস্তু হল টাকা পয়সা, সোনা রূপা, প্রাণী এবং যেগুলি রান্না হয়নি সে সব খাদ্য দ্রব্য। অনেক সময় দেখা যায় ভিক্ষুদের মধ্যে মতের অমিল হলে এমনকি ভিক্ষুরাও পৃথক হয়ে যায়। যেমন জনৈক রাজা তিনজন ভিক্ষুকে আমত্রণ করে রাজবাড়ীতে এনেছেন। তাদেরকে বহু দানীয় সামগ্রী দান করেছেন। তৎমধ্যে তিনজনকে তিনটি হাতিও দান করেছেন। তাদের মধ্যে দুইজন বললেন- বুদ্ধ বিনয়ে হাতি বা প্রাণী গ্রহণ করা নিষেধ। অপর একজন বললেন- কি হবে, এগুলি বিক্রি করে অন্য খরচ মিটানো যাবে। অতপর উক্ত ভিক্ষুদের মধ্যে বিরোধের কারণে তারা দুইভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। অতএব যারা প্রজ্ঞাবান তাঁরা কোনদিন গ্রহণের অযোগ্য দ্রব্য গ্রহণ করেন না। আর যারা দুষ্প্রাজ্ঞ তারা প্রতিনিয়তই বুদ্ধ বিনয় লংগন করে। মতের অমিলের কারণেই ভিক্ষুগণ পৃথক হয়। যেমনটা বর্তমানে হচ্ছে। আবার দেখা যায় দুষ্প্রাজ্ঞ ব্যক্তিরাও তাদের মধ্যে পৃথক পৃথক দলে বিভক্ত হতে বাধ্য হয়েছে। তাহলে যাঁরা প্রজ্ঞাবান তাঁরা আসল সার গ্রহণ করেন। আর যারা দুষ্প্রাজ্ঞ তারা অসার গ্রহণ করে, নানাবিধ দুঃখের সৃষ্টি করে। ভগবান বুদ্ধ ভবিষ্যৎ বাণীতে বলেছেন- অদূর ভবিষ্যতে ভিক্ষু সংঘের মধ্যে ৫ প্রকার মহাচোর উৎপন্ন হবে। সেগুলি হতে সাবধানে থাকার জন্য সতর্ক হওয়া উচিত।
১) এমন কতগুলি মহাচোর ভিক্ষু উৎপন্ন হবে তারা সহস্রজন একত্রিত হয়ে হত্যা করবে, হত্যা করাবে এবং বহুধন সম্পদ লুট করে গণ্যমান্য ভিক্ষু হিসেবে চলবে।
২) এমন কতগুলি মহাচোর ভিক্ষু উৎপন্ন হবে তারা ত্রিপিটক পারদর্শী হিসাবে পরিচয় দেবে। কিন্তু সেগুলি বুদ্ধ বাণীর পরিবর্তে নিজের মতবাদ বলে প্রচার করবে।
৩) এমন কতগুলি ভিক্ষু উৎপন্ন হবে তারা নিজে শুদ্ধ ব্রহ্মচারী না হয়ে অপর ভিক্ষুকে হেয় প্রতিপন্ন করবে। তারা শুদ্ধ ব্রহ্মচারী নামধারী মহাচোর।
৪) এমন কতগুলি মহাচোর ভিক্ষু উৎপন্ন হবে তারা ভবিষ্যতে গৃহীদের মত জমি ক্রয় করবে, ব্যবসা-বাণিজ্য করবে এবং বিবিধ আসবাবপত্র ক্রয় করে বিলাস বহুলভাবে জীবন-যাপন করবে। তারা বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠানে যা দানীয় সামগ্রী পাবে কিছু কিছু তার মনোনীত ব্যক্তিদের প্রদান করবে। ভবিষ্যতে যেন আরো লাভ সৎকার বাড়ে।
৫) এমন কতগুলি মহাচোর ভিক্ষু উৎপন্ন হবে তারা ধ্যান, মার্গ, ফল ও বিমুক্তি লাভ না করেও উপযুক্ত ও দক্ষ ভিক্ষু হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে লাভ সৎকার আকাঙ্খা করবে। তারা বিভিন্ন হাট-বাজারে ও পথে ধর্ম ভাষণ দিয়ে নিজকে ধন্য বলে মনে করবে।
উপসংহারে শ্রদ্ধেয় বনভান্তে বলেন- ঔষধের গুণাগুন সম্বন্ধে ঔষধ বিক্রেতারা যেভাবে প্রচার করে বনভান্তেও সেভাবে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন। কিন্তু হাট-বাজারে ও পথে-ঘাটে নয়। নির্জনে ও বিহারে প্রচার করলে ধর্মের গৌরব বৃদ্ধি পায়। তাহলে তোমরা মিথ্যা ধর্ম, পাপ ধর্ম ও পর ধর্ম ত্যাগ কর। এগুলি হল অসার। সত্য ধর্ম, পূণ্য ধর্ম ও নিজ ধর্ম গ্রহণ কর। এগুলি হল সার।
#লেখাটি Subrata Barua https://www.facebook.com/subrata.barua.9655 কর্তৃক পোস্ট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ।
by admin | Nov 6, 2018 | blog
রাজপ্রাসাদে নয়, লুম্বিনী নামক উদ্যানে হয়েছিল তাঁর জন্ম। জন্মের পর নবজাতককে এক নজর দেখার জন্য রাজপ্রাসাদে জনতার ঢল নামে। হিমালয়ের গভীর অরণ্য থেকে এলেন ঋষি অসিত। তিনি শিশু রাজকুমারকে দেখে অভিভূত হয়ে প্রথমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তৎপর তাঁর দুই চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে। ঋষির চোখে অশ্রু দেখে রাজা বিচলিত হয়ে বিনীতভাবে হর্ষ-বিষাদের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে ঋষি বলেন, ‘মহারাজ! এই কুমার মহাজ্ঞানী বুদ্ধ হবেন। জগতে দুঃখ মুক্তির পথ প্রদর্শন করবেন। এ জন্য আমি উচ্ছ্বসিত হয়েছি। কিন্তু আমি বয়োবৃদ্ধ। তাঁর দুঃখ মুক্তির অমিয়বাণী শোনার সৌভাগ্য আমার হবে না। তৎপূর্বে আমার মৃত্যু হবে। এ জন্য মন বিষণ্ন, দুঃখভারাক্রান্ত।’ ভবিষ্যদ্বাণী শুনে রাজা বিষণ্ন হলেন।
একমাত্র পুত্র গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসী হবে এই চিন্তায় রাজা সারা দিন অস্থির থাকতেন এবং দিনরাত রাজকীয় ভোগ-ঐশ্বর্যে পুত্রকে আবিষ্ট করে সংসারমুখী করার চেষ্টা করতেন। তাঁকে বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ করালেন। কিন্তু জগতের কোনো রূপ-রস তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারল না। কীভাবে মানুষকে ক্রমবর্ধমান দুঃখের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি দেওয়া যায় সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অর্থাৎ জগতের দুঃখের কারণ অনুসন্ধানে তিনি ২৯ বছর বয়সে অবলম্বন করেন সন্ন্যাসজীবন।
সুদীর্ঘ ছয় বছর কঠোর সাধনায় তিনি ৩৬ বছর বয়সে আর এক বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধগয়ার বোধি বৃদ্ধের নিচে লাভ করেন বোধি জ্ঞান, জগতে খ্যাত হন বুদ্ধ নামে। জন্মের মতো তাঁর বোধিপ্রাপ্তিও ঘটেছিল প্রকৃতির সান্নিধ্যে। বোধি জ্ঞান লাভের মধ্যে দিয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন জগতের প্রকৃত স্বরূপ ‘দুঃখময়তা’। তিনি আবিষ্কার করলেন জগতে দুঃখ যেমন আছে, তেমনি দুঃখের কারণ আছে, দুঃখের নিরোধ আছে এবং দুঃখ নিরোধের উপায়ও আছে। তিনি দুঃখের স্বরূপ বিভাজন করে ঘোষণা করলেন, মানুষ জগতে আট প্রকার দুঃখ ভোগ করে। জন্ম, জরা, ব্যাধি, মৃত্যু, অপ্রিয় সংযোগ, প্রিয় বিচ্ছেদ, ইচ্ছিত বস্তুর অপ্রাপ্তি এবং পঞ্চ স্কন্ধের সমন্বয়ে গঠিত দেহই দুঃখের আকর বা দুঃখ প্রদায়ক। রক্ত-মাংসের দেহধারী মানুষ অবশ্যই এ আট প্রকার দুঃখ কোনো না কোনোভাবে ভোগ করে। দুঃখের ব্যবচ্ছেদের পাশাপাশি তিনি দুঃখের কারণও ঘোষণা করলেন। তিনি মানবজাতির দুঃখভোগের পেছনে ১২ প্রকার কারণ নির্দেশ করেন। এ ১২টি কারণ বৌদ্ধ সাহিত্যে দ্বাদশ নিদান নামে পরিচিত।
উপযুর্ক্ত ধর্ম-দর্শন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বুদ্ধের চিন্তা-চেতনার কেন্দ্রে ছিল মানুষ। তাঁর প্রচারিত ধর্ম-দর্শনের আলোচ্য বিষয় মানুষ, মানবতা এবং মানুষের কল্যাণ সাধন। তাই তাঁর দর্শন মানবতাবাদী দর্শন হিসেবে খ্যাত। তাঁর দর্শনে অতিন্দ্রিয় সত্তা বা ঈশ্বরের কোনো উল্লেখ নেই। আছে মানুষ, মানুষের দুঃখ এবং দুঃখ মুক্তির নির্দেশনা। তাই তাঁর দর্শন মানবতাবাদী দর্শন হিসেবে খ্যাত। অধিবিদ্যাসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি আগ্রহী ছিলেন না। তাই ঈশ্বর বিষয়ে তিনি নীরব ভূমিকা পালন করতেন। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগৎ শাশ্বত বা অশাশ্বত, সন্ত বা অনন্ত, মৃত্যুর পর আত্মা থাকে বা থাকে না, দেহ ও আত্মাÄ এক নাকি ভিন্ন প্রভৃতি প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যেতেন। তাঁর মতে, ‘কেউ তিরবিদ্ধ হলে প্রথম কাজ হচ্ছে তির উত্তোলন করা, চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং ওষুধসেবনপূর্বক তাঁকে আরোগ্য করা। তা না করে কে তির মারল, কোন দিকে থেকে তির নিক্ষিপ্ত হলো, তিরের ফলায় কী ধরনের বিষ ছিল প্রভৃতি অনুসন্ধান করতে গেলে তিরবিদ্ধ মানুষটির মৃত্যু ঘটবে।’ তিনি আরও বলেন, ঈশ্বর আছে কি নেই, জগৎ শাশ্বত বা অশাশ্বত, আত্মা মৃত্যুর পর থাকে কি না প্রভৃতি প্রশ্নের উত্তরের প্রয়োজন নেই। দুঃখে জর্জরিত মানুষের দুঃখ মুক্তির জন্য এগুলো অর্থহীন। বরং দুঃখের কারণ ও তার প্রতিকারের উপায় জানাই অধিক প্রয়োজন।
তাই তিনি অতিপ্রাকৃত বিষয়াদির বদলে প্রকৃতিকে জানা এবং মানবীয় সমস্যাবলি সমাধানের ভারও মানুষের ওপর ন্যস্ত করেছেন। তাঁর মতে, ‘মানুষের মুক্তির জন্য মানুষই যথেষ্ট। মানুষ নিজেই নিজের ত্রাণকর্তা, নিজেই নিজের প্রভু এবং নিজেই নিজের আশ্রয়। মানুষ প্রজ্ঞাযুক্ত এক বিরাট সম্ভাবনাময় সত্তা এবং নিজেই সবকিছু করার অধিকার রাখে।’ তাই বুদ্ধ তাঁর শিষ্যদের উপদেশস্বরূপ বলেছিলেন, ‘আত্মদ্বীপ প্রজ্বলিত করে নিজের মুক্তির পথ পরিষ্কার করো, আত্মশরণ নাও, অন্যের ওপর নির্ভর করো না।’ ব্যক্তিস্বাধীনতা বা আত্মশক্তির প্রাধান্য সম্ভবত প্রাচ্যের দর্শনে বুদ্ধই প্রথম উচ্চারণ করেছিলেন। ‘অতিপ্রাকৃত সত্তা বা ঈশ্বরের সাহায্য ছাড়া মানুষ তাঁর কর্মের মাধ্যমে দুঃখ থেকে হতে মুক্তি লাভ করতে পারে’—এ ঘোষণার মাধ্যমে তিনি মানুষের মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বকে সবার ওপরে স্থান দিয়ে মানবতার জয়গান গেয়ে গেছেন, যার অনুরণন দেখতে পাই কবির ভাষায়—‘সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই’।
মৈত্রী করুণা বা প্রেম ভালোবাসা বুদ্ধের ানবতাবাদের প্রকৃষ্ট দিক। তাঁর হাতে ছিল মানবপ্রেমের বাঁশরি, কণ্ঠে ছিল মৈত্রী-করুণার অমৃতবাণী এবং লক্ষ্য ছিল সাম্য ও ন্যায়ের ধর্ম বিতরণে। বুদ্ধ আত্মজয়কে শ্রেষ্ঠ জয় বলে নির্দেশ করেছেন। তিনি হিংসাকে অহিংসা দিয়ে, শত্রুকে মৈত্রী দিয়ে জয় করার উপদেশ দিয়েছেন। হিংসাত্মক মনোভাব মানুষকে উত্তরোত্তর সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়। এই মহামন্ত্রই সেদিন ভারতবর্ষকে বিশ্বের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিল। এই দীক্ষা নিয়ে সম্রাট অশোক চণ্ডাশোক থেকে ধর্মাশোকে পরিণত হয়েছিলেন। দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে উন্মত্ত এ পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের মানবতাবাদী দর্শনের অনুশীলন একান্ত প্রয়োজন। হিংসা নয়, শত্রুতা নয়, যুদ্ধ নয়, জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক, দুঃখ মুক্ত হোক’।
by admin | Nov 4, 2018 | Event
সুধী,
নিশ্চয় জেনে খুশি হবেন যে ১০জন কুলপুত্রকে ভারতের বুদ্ধগয়ার বালনে মহাবােধি বৃক্ষের নীচে প্রব্রজ্যা নিয়ে ১০ দিন ধ্যান কর্মশালার আয়োভন করা হয়েছে। ১০জন প্রব্রজ্যার্থীকে অষ্টপরিষ্কার, যাতায়াত ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া, পানীয় সব ধরণের খরচ চন্দনাইশ ফতেনগর গ্রামের বাৰু বিদ্যুৎ বড়ুয়া ও সহধর্মিনী শ্রীমতি বীনা রাণী বড়ুয়া দান করছেন। তাই বুদ্ধগয়া ভ্রমণ এবং সব ধরণের খরচ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আসা-যাওয়া অবশ্যই এসিযুক্ত প্রথম শ্রেণীর কোচ থাকবে। শুধুমাত্র পাসপাের্ট ও ভিসা নিজ খরচে করতে হবে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ, চট্টগ্রাম সভাপতি বাবু সীমান্ত বড়ুয়ার হতে পরামর্শ নিতে পারেন। মােবাইল- ০১৮১৯৭০৫২০৩। সদ্ধর্ম বিদর্শন ভাবনা পরিবেণের সেবক-সেবিকাদের একটি বিশেষ টিম যাবে। বিনামূল্যে প্রব্রজ্যার্থীদের যারা বুদ্ধগয়ায় যাওয়া দূর্লভ সুযোগ লাভ করবেন তাদের বয়স ২৫ থেকে ৫০ এর মধ্যে এবং যারা আগে কখনও বুদ্ধগয়ায় যাওয়ার সুযােগ হয়নি তারাই উক্ত সুযােগ লাভের ধন্য হবেন এবং আমাদের ভোটের বাইরে যারা উক্ত টিমে অংশগ্রহণ করতে চান তারা নিজের টাকায় নিভোর হাতে খরচ করে যেতে পারেন। আমাদের সাথে এবং মেডিটেশন কোর্সে অংশ গ্রহণ করতে পারেন। বুদ্ধগয়ায় দূর্লভ বুদ্ধত্ব লাভের স্থানে বুদ্ধগয়ায় বাসন মহাবােধি বৃক্ষের নীচে বালনের এবং বুদ্ধত্ব লাভের ঐতিহাসিক তাৎপর্য এবং মেডিটেশনে। কলাকৌশল সম্পর্কে মূল্যবান সদ্ধর্ম দেশনা করবেন কল্যাণমিত্র শ্রদ্ধেয় ডিনপাল ভান্তে। মেডিটেশন চলাকালীন বিকাল বেলা সুন্দর সময়ে এই প্রেগ্রামটা বাংলাদেশী বৌদ্ধদের জন্য সর্বপ্রথম। বাংলাদেশী বৌদ্ধ জনগণের আগ্রহ দেখালে এমন ধরণের প্রোগ্রাম আরাে করার ইচ্ছা করি। আমরা সুন্দর যা নিজ, অপরের বিমুক্তির সহায়ক সেবামূলক কাভা তে পছন্দ করি ২২শে ফেব্রুয়ারী বিকাল বেলা সদ্ধর্ম বিদর্শন ভবনা পরিবেণে এসে হাজির হবেন এবং পরিবেণ থেকে বুদ্ধগয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হব। বিঃ দ্রঃ কলামিত্র শ্রদ্ধেয় ভিনপাল ভান্তে এবারে ২০১৮ইং ভিক্ষু ভবনে ২০ বর্ষা বুদ্ধগয়ায় উাপন করেন সেখানে বিশ্বের বৌদ্ধ দেশের ছেলেরা। বুদ্ধগয়ায় এসে বাসনে মহাবােধির নীচে প্রব্রজ্যা নিয়ে ধ্যান অনুশীলন এবং তাদের দেশীয় ভান্তেদের মুখে বুদ্ধগয়ার তাৎপর্য সম্পর্কে দেশনা শ্রবণ করতে দেখে স্বভাতির প্রতি তার মমতুৰােধ জাগে এবং স্বাতি ছেলেদের এমন পবিত্র স্থানে প্রব্রজ্যা দিয়ে ধ্যান অনুশীলন ধর্মশিক্ষা দিয়ে সুন্দর নাগরিক হিসাবে গড়ে তােলা। অন্যরা যখন পারে আমরা কেন নয়? এমন দৃঢ় সঞ্চয় নিয়ে দেশে ফিরেন এবং এ বিষয় তার ভক্ত ভাবনা পরিবেণের মেডিটেটর অন্যতম সেবক বাবু বিদ্যুৎ বড়ুয়ার সাথে শেয়ার করেন। তিনি তা শ্রবণে তৎক্ষণাৎ অনুমোদন করেন এবং ভান্তের ইচ্ছানুযায়ী ১০ জনের সম্পূর্ণ খরচ দান হিসাবে বহন তে শ্রদ্ধা অশ্রহের সহিত ব্যক্ত করেন। আমরা বার বিদ্যুৎ বড়ুয়া ও তার পরিবারবর্গের নিরোগ-লীর্ঘায় জীবন। কামনা করি। উক্ত ভ্রমণ মেডিটেশন কোর্স এবং মহাবোধি নীচে সমাপনী সংঘদান বাৰু বিদ্যুৎ বড়ুয়ার বাবা প্রয়াত মানবেন্দ্রলাল বড়ুয়া ও স্বর্গীয় মাতা দীপ্তিমী বড়ুয়া এবং প্রয়াত জাতী স্বজনের উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত। বাবু বিদ্যুৎ বড়ুয়া, তার পরিবারবর্গ আমাদের সাথে বুদ্ধগয়ায় যাচ্ছেন এবং তিনি তার নিজের হাতে তার সানের টাকা খরচ করবেন। ব্যবস্থাপনা । সেবক-সেবিকাবৃন্দ সদ্ধর্ম বিদর্শন ভাবনা পরিবেণ। চন্দনাইশ পৌরসভা সদর, চট্টগ্রাম। বিস্তারিত জানতে ভদন্ত মৈত্রীপাল ভিক্ষু, সদ্ধর্ম বিদর্শন ভাবনা পরিবেণ # ০১৮২৬৫৩৮৪১২ ভদন্ত মুদিতাপাল ভিক্ষু, বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহার, উত্তরা, ঢাকা। ০১৭৯৭৪৪১০০৬ ভদন্ত ধর্মপাল ভিক্ষু, সম্মাদিঠি ফরেষ্ট মেডিটেশন সেন্টার : ০১৮৬৯৪২২১৪৬ পরিবেণের মেডিটেটর, বাবু প্রমােদ রঞ্জন বড়ুয়া, উপজেলা ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, চন্দনাইশ জোয়ারা বিশম্বর চৌধুরী হাই স্কুল । ০১৮১৯৬৪০১৯৬ পরিবেণের মেডিটেটর, বাৰু বিজয়ানন্দ বড়ুয়া, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় কাশেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দনাইশ । ০১৮১৩৩৮৫৮৫৬ পরিবেণের মেডিটেটর, প্রভাষক ধীমান বড়ুয়া, বিজিসি ট্রাষ্ট । চেয়ারম্যান স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন : ০১৮১৫২০০৯৩৬ ব্যাংকার রিপন বড়ুয়া, ০১৮১৫৫২১৮২৮