রাজবিহারে বার্ষিক বুদ্ধ ও গুরু আচরিয় পূজা

রাজবিহারে বার্ষিক বুদ্ধ ও গুরু আচরিয় পূজা

বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্ম পুনঃজাগরনের অগ্রদূত, শাসন সদ্ধর্মের প্রচার-প্রসার ও স্থিতির আলোকবর্তিকা, সৃষ্টিশীল মহান সাংঘিক ব্যক্তিত্ব পরম পূজনীয় গুরুভন্তে ভদ্দন্ত উ পঞ্ঞা জোত মহাথের এর কর্মযজ্ঞে আরো একটি জাদী স্থাপিত হতে যাচ্ছে। জাদী প্রতিষ্ঠা মানে ধর্মের ধ্বজাকে উড্ডীন করা, বুদ্ধের ধর্মকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া।
আগামী ১২/১১/১৯ ইং তারিখে বৃহস্পতিবার কিয়কমলং জাদীর থিদ স্থাপনা, অ‌ভি‌ষেক ও উৎসর্গ অনুষ্ঠান। মহাপুণ্যময় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ঐতিহাসিক কর্মের সম্পৃক্ত হউন। ১৩/১১/১৯ ইং শুক্রবার খিয়ং ওয়া কিয়ং রাজবিহারে বার্ষিক বুদ্ধ ও গুরু আচরিয় পূজা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত মহতী পুণ্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অপ্রমেয় পুণ্য লাভের জন্য সবাই‌কে সাদরে আমন্ত্রন জানাচ্ছি।

বৌদ্ধ শিশু কিশোর উৎসব – ২০১৯

বৌদ্ধ শিশু কিশোর উৎসব – ২০১৯

সুধি,

মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিবাদন গ্রহণ করুন।

তারুণ্য নির্ভর সামাজিক সংগঠন আলোকিত বৌদ্ধ যুব সংঘের উদ্যোগে ক্ষুদে এবং কিশোর বন্ধুদের নিয়ে আলোকিত বৌদ্ধ যুব সংঘ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার, সরকারী কালাচাঁদপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজন করতে যাচ্ছে বৈকালিক সংঘদান, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং চতুর্থ বারের মত বৌদ্ধ শিশু কিশোর উৎসব-২০১৯।

উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের বহু বরণ্য-গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ, শিক্ষাবিদ ও বিদেশী কূটনীতিক বৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

এবারের আয়োজনে শিশুদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে বলে আশা করছি। উল্লেখ্য যে,আলোকিত বৌদ্ধ যুব সংঘ এবার প্রায় ৩ শত শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাংকন এবং রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আলোকিত বৌদ্ধ যুব সংঘ আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

উক্ত মহতি আয়োজনে আপনার/আপনাদের উপস্থিতি কামনা করছি।

নিবেদক

অভিজিৎ বড়ুয়া                      রিগ্যান বড়ুয়া                রিকসন বড়ুয়া

চেয়ারম্যান                               সভাপতি                 সাধারণ সম্পাদক

কামনাহীন জাতক

কামনাহীন জাতক

পুরাকালে যখন ব্রম্মদত্ত বারণসী রাজা ছিলেন তখন বোধিসত্ত্ব কাশীরাজ্যে এক ব্রাম্মণবংশে জন্মগ্রহন করেন। বয়ঃপ্রাপ্তির পর তিনি বিষয় কামনা ত্যাগ করে ঋষিপ্রবজ্যা গ্রহন করেন এবং হিমালয় প্রদেশে অবস্থান করতে থাকেন।

কিছুকাল পর তিনি পরবত হতে নেমে এসে রক গ্রামের নিকট গঙ্গার রক বাঁকের মাথায় এক পর্ণশালা নির্মাণ করে বাস করতে লাগলেন।
এইসময় এক পরিব্রাজক তাঁর সঙ্গে বিচার করতে সক্ষম এমন কোন লোক খুঁজে পাচ্ছিলেন না। একদিন সেয় পরিব্রাজক সেই গ্রামে এসে উপস্থিত হলেন। তিনি গ্রামবাসী থেকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সঙ্গে বিচার করতে পারে এমন লোক এখানে আছে কি?
গ্রামবাসীরা বলল, আছের বৈকি।

এই বলে তারা বোধিসত্ত্বের বিচার ক্ষমতা বর্ণনা করতে শুরু করল। তখন সেই পরিব্রাজক অনেক লোক জনের সাথে বোধিসত্ত্বের নিকট বনে গেলেন। তারপর তাঁকে সম্ভাষণ করে আসন গ্রহন করলেন।

বোধিসত্ত্ব তার অভিপ্রায় বুজতে পেরে জিজ্ঞাসা করলেন। আপনি বনগন্ধজুক্ত জল পান করবেন কি??

পরিব্রাজক তাঁকে মায়াজালে আবদ্ধ করার জন্য বললেন, গঙ্গা জল কি? গঙ্গা কি বালুকা না জল? গঙ্গা বলতে এপার বুঝায় না ওপার বুঝায়?
বোধিসত্ত্ব উত্তর করলেন, যদি আপনি বালুকা, জল, এপারওপার বাদ দেন, তাহলে গঙ্গা পাবেন কোথা?

এই প্রশ্নে পরিব্রাজক নিরুত্তর হয়ে উঠলেন। তারপর সেখান থেকে উঠে পালিয়ে গেলেন।

বোধিসত্ত্ব তখন উপস্থিত ব্যক্তিদের উপদেশ দেবার জন্য একটি গাথার মাদ্যমে বললেন, এরা যা দেখে টা পেতে ইচ্ছা করে না, যা দেখেনা তাই পেতে ইচ্ছা করে। ফলে এই সব মতিহীন লোকেরা তাদের ঈপ্সিত বস্তু কখনই লাভ করতে পারে না। এরা যা লাভ করে প্রার্থী হয়ে ঘুরে বেরায় চিরদিন।

এদের ইচ্ছা কোনদিনই পূরণ হয় না। তাই বীতরাগ বা কামনাহীন্দেহ গুণকীর্তন করি।

#লেখাটি   Barua  কর্তৃক পোস্ট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে

 

রাজকুমার সিদ্ধার্থের বংশ পরিচয়

রাজকুমার সিদ্ধার্থের বংশ পরিচয়

 

            রাজকুমার সিদ্ধার্থের বংশ পরিচয়

           ————————————————–

              পিতৃকুল —-শাক্য বংশ

             ——————————

     ১। জয়সেন – সন্তান- পুত্র -১ জন ও কন্যা -১ জন।

        পুত্র – সিংহহনু, কন্যা – যশােধরা ( অঞ্জনের স্ত্রী)।

     ২। সিংহহনু স্ত্রী – কচ্চায়না (দেবদহের কন্যা)।

         সন্তান – পুত্র – ৪ জন ও কন্যা – ২ জন।

            পুত্র – ৪ জন ( সিংহহনু)

        ক। শুদ্ধোদন – স্ত্রী – ২ জন।

         ১। মহামায়া — অঞ্জনের কন্যা।

          ২। মহাপ্রজাপতি গৌতমী – অঞ্জনের কন্যা। প্রব্রজিত।

               সন্তান – ২ পুত্র ও ১ কন্যা।

               পুত্র – ২ জন ( শুদ্ধোদন)

            ১। সিদ্ধার্থ – মহামায়ার সন্তান।

              স্ত্রী – যশােধরা – সুপ্রবুদ্ধের কন্যা। প্রব্রজিত।

               সন্তান – পুত্র -১ জন।

               পুত্র – রাহুল। প্রব্রজিত।

                 ২। নন্দ – মহাপ্রজাপতি গৌতমীর সন্তান। প্রব্রজিত।

                   কন্যা -১ জন ( শুদ্ধোদন)

                  ১। সুন্দরী নন্দা – মহাপ্রজাপতি গৌতমীর সন্তান। প্রব্রজিত।

     খ। ধােতদন – নিঃসন্তান।

     গ। শুক্লোদন – সন্তান – পুত্র – ২ জন।

           ১| অনুরুদ্ধ – প্রব্রজিত।

          ২| মহানাম।

     ঘ। অমিতােদন – সন্তান – পুত্র -১ জন।

        ১। আনন্দ – প্রব্রজিত

      কন্যা – ২ জন (সিংহহনু)

       ক। অমিতা – সন্তান – পুত্র -১ জন।

          ১। তিসস – প্রব্রজিত।

          খ। প্রমিতা – সুপ্রবুদ্ধের স্ত্রী।

             মাতৃকুল – কোলিয় বংশ

           ————————————

   ১। দেবদহ – সন্তান – পুত্র –১ জন ও কন্যা – ১ জন।

      পুত্র – অঞ্জন, কন্যা – কচ্চায়না ( সিংহহনুর স্ত্রী)।

    ২। অঞ্জন – স্ত্রী – যশােধরা (জয়সেনের কন্যা)।

       সন্তান – পুত্র – ২ জন ও কন্যা – ২ জন।।

       পুত্র – ২ জন (অঞ্জন)

        ক। সুপ্রবুদ্ধ – স্ত্রী – প্রমিতা (সিংহহনু কন্যা)।

         সন্তান – পুত্র -১ জন ও কন্যা -১ জন।

     পুত্র -১জন (সুপ্রবুদ্ধ)

       ১। দেবদত্ত – প্রব্রজিত।

        কন্যা – ১ জন (সুপ্রবুদ্ধ)

      ১। যশােধরা – সিদ্ধার্থের স্ত্রী। প্রব্রজিত।

        খ। দনগুপানি – নিঃসন্তান।

         কন্যা -২ জন (অঞ্জন)

          ক। মহামায়া – শুদ্ধোদনের স্ত্রী।

          খ। মহাপ্রজাপতি গৌতমী – শুদ্ধোদনের স্ত্রী।

# তথ্যসূত্র ঃ-  মহামুনি সম্যক সম্বুদ্ধ (  http://ms-sambuddha.com )

বুদ্ধের এই ৩১ বাণী মনে রাখলে জীবন হবে সফল, শান্তিময়

বুদ্ধের এই ৩১ বাণী মনে রাখলে জীবন হবে সফল, শান্তিময়

মানুষের জীবন মাত্রই সুখ-দুঃখের মিলিত রূপ। সুখের পাশাপাশি দুঃখের হাত থেকেও নিস্তার নেই কারও। জরা, রোগ, মৃত্যু- এ সবই দুঃখ। বুদ্ধের মতে  মানুষের কামনা-বাসনাই দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখের মিশেলে এবং অস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই।

গৌতম বুদ্ধ বলেন, নির্বাণ লাভ কিংবা কামনা-বাসনা থেকে মুক্তি লাভে দুঃখের অবসান ঘটে। এর মধ্য দিয়ে দূর হয় অজ্ঞানতা। মেলে পূর্ণ শান্তি। সত্যজ্ঞান, আনন্দ এবং ইতিবাচকতার জন্য আমরা তাই বুদ্ধের কাছে যাই। সুখের সন্ধানে অনুসরণ করি তাঁর বাণী।

নিচে গৌতম বুদ্ধে ৩১টি বাণী তুলে ধরা হলো। এগুলোই হয়তো পাল্টে দেবে আপনার জীবনকে, এর মধ্যে হয়তো পেয়ে যাবেন সুখের ঠিকানা :

১। অতীতকে প্রাধান্য দিও না, ভবিষ্যত নিয়ে দিবাস্বপ্নও দেখবে না। তার চেয়ে বরং বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবো।

২। সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করো, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবো তুমি কী হতে চাও।

৩। আনন্দ হলো বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলো খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।

৪। তুমিই কেবল তোমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।

৫। জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।

৬। অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলোও তোমার দাসত্ব মেনে নেবে।

৭। তোমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততাই উপভোগ করতে পারবে জীবনকে।

৮। আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরো জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তো এরইমধ্যে পেয়েছ। সুতরাং, এবার থামো।

৯। সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও  বাইরের কোনো উৎস থেকে আসে না।

১০। অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারাটাও তোমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

১১। জীবনের খুব কম মানুষের জীবনে পরিপক্কতা আসে। সঙ্গী হিসেবে এই পরিপক্কতাকে তোমার অর্জন করতে হবে। তবে তা ভুল মানুষকে অনুসরণ করে নয়। এই পরিপক্কতা অর্জনে বরং একলা চলো নীতি অনুসরণ করো।

১২। করুণাই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি।

১৩। সুখ কখনও আবিষ্কার করা যায় না। এটি সবসময় তোমার কাছে আছে এবং থাকবে। তোমাকে কেবল দেখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

১৪। রেগে যাওয়া মানে নিজেকেই শাস্তি দেওয়া।

১৫। সত্যিকারভাবে ক্ষমতা নিয়ে বাঁচতে হলে নির্ভয়ে বাঁচো।

১৬। জীবনে ব্যাথা থাকবেই, কিন্তু কষ্টকেই ভালোবাসতে শেখো।

১৭। অনেক মোমবাতি জ্বালাতে আমরা কেবল একটি মোমবাতিই ব্যবহার করি। এর জন্য ওই মোমবাতিটির আলো মোটেও কমে না। সুখের বিষয়টিও এমনই।

১৮। যখন আমরা মনের রূপান্তর ঘটাই, আর চিন্তাগুলো বিশুদ্ধ করি, তখন আমরা অন্যায় কাজ থেকে জীবনকে পরিশুদ্ধ করি। এর মাধ্যমে খারাপ কাজের চিহ্নও মুঁছে যায়।

১৯। অন্যকে কখনও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করো না, নিয়ন্ত্রণ করো কেবল নিজেকে।

২০। আলোকিত হতে চাইলে প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করো।

২১। জ্ঞানগর্ভ জীবনের জন্য মুহূর্তের ইতিবাচক  ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই জন্য ভয়কে তুচ্ছ করতে হবে, এমনকি মৃত্যুকেও।

২২। এই তিনটি সর্বদা দেখা দেবেই: চাঁদ, সূর্য এবং সত্য।

২৩। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব।

২৪। নিজের কথার মূল্য দিতে হবে নিজেকেই। কেননা, তোমার নিজের কথার ওপর নির্ভর করবে অন্যের ভালো কাজ কিংবা মন্দ কাজ।

২৫। ঘৃণায় কখনও ঘৃণা দূর হয় না। অন্ধকারে আলো আনতে তোমাকে কোনো কিছুতে আগুন জ্বালতেই  হবে।

২৬। শুভর সূচনা করতে প্রত্যেক নতুন সকালই তোমার জন্য এক একটি সুযোগ।

২৭। আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন আরেকজনের পরিপূরক। অর্থাৎ সমাজে আমরা কেউ একা নই।

২৮। খারাপটি সর্বদা তুমি নিজেই পছন্দ করছো। সুতরাং, তোমার খারাপ কাজের জন্য তুমি নিজেই দায়ী। এর দায়ভার অন্য কারো নয়।

২৯। তোমার চিন্তাই তোমার শক্তির উৎস। নেতিবাচক চিন্তা তোমাকে অনেক বেশি আঘাত করে যা তোমার ধারণায় নেই।

৩০। নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো।

৩১। তুমি মুখে কী বলছো সেটি কোনো বিষয় নয়, বিষয় হলো তোমার কাজ।

সুত্র ঃ কালেরকন্ঠ

error: Content is protected !!