বারাণসীরাজ ব্ৰহ্মদত্তের সময়ে বােধিসত্ত্ব একবার ভেরীবাদকের বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি এক গ্রামে বাস করতেন। তিনি তাঁর পুত্রসহ ভেরী বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একদিন বােধিসত্ব শূনতে পেলেন, বারাণসী নগরে কোন পর্ব উপলক্ষে এক বড় উৎসব হবে। মহা সমারােহ হবে নগরে। বহু লােকসমাগম হবে। সমাগত লােকদের কাছে ভেরী বাতালে বেশ কিছু অর্থ পাওয়া যেতে পারে। এই ভেবে তিনি পুত্রসহ ভেরী নিয়ে উৎসবস্থানে চলে গেলেন। সেদিন নগরে ভেরী বাজিযে অনেক ধন লাভ করলেন। বােধিসত্ব। উৎসব শেষ হলে তিনি সেই ধন নিয়ে বাড়ির পথে যাত্রা করলেন। পথে এক বন ছিল। সেই বনে এক দস্যুদল ছিল। | বনের মধ্যে পখিকদের পেলেই তারা উপদ্রব করত। বােধিসত্বের পুত্র সেই বনের মধ্য দিয়ে যাবার সময় একটানা ভেরী বাজিযে চলল। সে ভাবল, এইভাবে ভেরী বাজালে, ভেরীর শব্দ শুনে দস্যুরা পালিয়ে যাবে। কিন্তু বােধিসত্ব ভার ছেলেকে বললেন, এভাবে | একটানা বাজিও না। মাঝে মাঝে বাজাও। ভেরীর শব্দ শুনে দস্যু সত্যিই পালিয়ে গেল। কারণ তারা ভাবল, হ্যত রাঙ্গ বা কোন বিশিষ্ট ধনী ব্যক্তি বহু লােকজন নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা যখন দেখল, একটানা ভেরী বেজে চলেছে, তখন তারা ভয় করল না। ভারা সাহস করে এগিয়ে দেখল মাত্র দুজন লােক যাচ্ছে। দস্যরা তখন বােধিসত্ত্ব ও তাঁর ছেলেকে মারধর করে সব ধন কেড়ে নিল। বােধিসত্ত্ব হায় হায় করতে লাগলেন। বললেন, বহু কষ্ট যে ধন উপার্জন করলাম, দসরা এক নিমেষেই তা কেড়ে নিল। ভারপর তিনি পুত্রকে বললেন, কোন বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। আমি তােমাকে একটানা করেছিলাম। কিন্তু তুমি আমার কথা না | ভেরী বাজাতে নিষেধ শুনে বিস্তর ভেরী বাজিযে বিপদ ডেকে আনলে।।