কাঁলো গোঁসাই (বুদ্ধের) জ্যোতির্ময় জ্যোতি
কল্যাণ বড়ুয়া , আবুধাবী প্রবাসী , কেঁয়াগড় , আনোযারা , চট্রগ্রাম।
দক্ষিণে শংখনদী এবং বঙ্গোঁপসাগরের অবারিত ঢেউয়ের সুরের মূঁছনা
পশ্চিমে সবুজ পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত এবং কলকারখানা ও কর্ণফুলী নদীর মোহনা ।
দেয়াং পাহাড়ে অবস্থিত বৌদ্ধযুগের পন্ডিত বিহার মিলে আনোয়ারা উপজেলা
সুজলা , সুফলা , সবুজ বনানী দ্বারা শান্ত পতিরুপ জনপদে বসে কত গ্রাম্য মেলা ।
দেয়াং পাহাড়ে বৌদ্ধযুগে পন্ডিত বিহার ছিল শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
অত্র জনপদে কেয়াংগড় হতে কেঁয়াগড় গ্রামের উপত্তি বৌদ্ধদের তীর্থস্থান।
ঐতিহ্য়বাহি ছায়াঘেরা নিবিড় সৌন্দর্য্য পরিবেষ্টিত পূণ্যভূমি কেঁয়াগড় বৌদ্ধ গ্রাম
ধার্মিক উপাসকের স্বপ্নে প্রাপ্ত লুসাই পাহাড় হতে আনা কাঁলো গোঁসাই বুদ্ধের কত সুনাম
যুগে যুগে কাঁলো গোঁসাই বুদ্ধের চরণে , কত ভিক্ষু , কত বৌদ্ধ মনীষী সেবায় ছিল রত
দূর-দূরান্ত হতে আসে আশীর্বাদ নিতে ধার্মিক উপাসক-উপাসিকা যত।
যুগে যুগে এই বিহারে অবস্থান করেছিল কত ভিক্ষু , কত বৌদ্ধ মনীষী ,
জ্যোতির্ময় জ্যোতির গুনে কাঁলো গোঁসাই (বুদ্ধ) বৌদ্ধদের যেন এক পূর্ণ্য শশী।
অন্নপ্রাসন , প্রব্রজিত , লেখাপড়া চাকুরী , বিদেশযাত্রা আরও কত মানত করে
জীবন-জীবিকায় সুখের আশায় প্রার্থনায় রত অনাবিল সুখের তরে
পূর্ণিমা , অমাবস্যা , অষ্টমী বছরের প্রতিটি শুভদিন শুভক্ষণে
বুদ্ধপূজা সাজিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করে দুঃখ মুক্তির অন্বষণে।
কাঁলো গোঁসাই (বুদ্ধের ) অনন্ত গুনের জ্যোতির্ময় জ্যোতিতে
কেউ ফিরেনা খালি হাতে কাঁলো গোঁসাই (বুদ্ধের ) মন্দির হতে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা , প্রবারণা পূর্ণিমা , আর মহতী অনুষ্ঠান চীবর দানে
গ্রামবাসী , উপাসক-উপাসিকা রত থাকেন পঞ্চশীল , ধর্মদেশনা শ্রবনে
কত অসহায় , জীর্নশীর্ণ , ব্যাধিগ্রস্ত , আরোগ্র লাভের আশায় প্রতিদিন শুভক্ষণে
সকাল ,দুপুর , সাঁঝে বন্দনা জানায় কাঁলো গোঁসাই বুদ্ধের চরণে।
নিরলস প্রচেষ্টায় সুউচ্চ চূড়ায় নির্মিত বিহার ও ভিক্ষু সীমাঘর করেন নির্মাণ
কাঁলো গোঁসাই বুদ্ধের প্রধান সেবক শ্রীমৎ আর্যকীর্তি ভিক্ষুর কর্মের অবদান |