বুদ্ধ শাসনের জয় হােক
ভদন্ত/সুধী,
মহাকারুণিক বুদ্ধ দাঘ ৪৫ বছর ধরে যে ধর্ম-বিনয় প্রচার করেছিলেন তা ত্রিপিটক নামে সংগৃহীত হয়। বিনয়পিটক, সুত্রপিটক, অভিধর্মপিটক এই তিন পিটক নিয়েই ত্রিপিটক। অভিধর্মপিটকের সপ্তম খন্ডের বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে ‘পটঠান’। যা তথাগত বুদ্ধ চিত্ত, চৈতসিক, রূপ, নিবাণ সম্পর্কে সবিশেষ দেশনা করেছেন। বুদ্ধের ধর্ম দর্শনে দেখা যায়, বুন্ধরা ধর্ম প্রচারের শেষান্তে ‘পটঠান দেশনা করেন এবং ধর্ম বিলুপ্তির সময় সবার আগে পৃথিবী থেকে পটঠান বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেজন্য পটঠান গ্রন্থটি প্রত্যেকটি মানব সত্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্তপূর্ন। যাহ প্রতিনিয়ত পাঠ/শ্রবণ/ধারণ করলে অনেক সুফল লাভ করা যায়।
‘পটঠান’ পাঠের সুফল ঃ
১। বিভিন্ন প্রকার ভয় অন্তরায় উদ্ভব ও বিপদ হতে রক্ষা পাওয়া যায় ।
২। দেবগণের প্রশংসা প্রাপ্ত হয়। ।
৩। যশ-খ্যাতির অধিকারী হয়।
৪। দেব ও মনুষ্যের প্রিয়তা লাভ করা যায়।
৫। মনের মধ্যে সবসময় ভয়হীনতা থাকে।
৬। ব্যবসা-বাণিজ্যের আয় উন্নতি বর্ধিত হয়।
৭। শ্রদ্ধাসহকারে “পটঠান” পাঠ করলে মৃর্ত্যর ভয়ও প্রকম্পিত করতে পারে না।
৮ । শান্ত ও স্থির চিত্তে “পটঠান” পাঠ করলে অনায়াসেই সমাধি লাভ করতে পারেন।
তাই আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আগামী ২২ মার্চ শুক্রবার থেকে ২৬ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত পাঁচদিন ব্যাপী দিন রাত নিরবচ্ছিন্নভাবে পটঠান পাঠের আয়ােজন করতে যাচ্ছি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার-বিকাল ৩.০১মি, দুর্লভ মহান গণ প্রব্রজ্যা, ২২ মার্চ শুক্রবার – সকাল ৮.০১মি. দায়ক-দায়িকা ও পুন্যার্থীদের উপস্থিতিতে আসনে বুদ্ধমূর্তিসহ ধর্ম পূজা স্থাপন ও মঙ্গল প্রদীপ প্রচলনের মাধ্যমে পটঠান” পাঠ শুরু, ২৩, ২৪, ২৫ মার্চ সকাল ৯ঃ৩০ মি । পুজনীয় ভিক্ষুসংঘের বিহার সম্মুখে পিন্ডাচারণ,২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০ঃ০১ মি। সমাপনী অষ্টউপকরণসহ সংঘদান ।
পুজনীয় ভিক্ষুসংঘের বিহার সম্মুখে পিচারণ, ২৬ মাচ মঙ্গলবার সকাল ১০.০১মি. সমাপনী অষ্টউপকরণসহ সংঘদান। আপনারা নেন মল শহর থেকে কিছুটা সরে হলেও বাংলাদেশদ্ধে মহাবিহারে পুণ্যার্থীদের উপস্থিতিতে সময় শন এর সম্পাদন হয়। তারই প্রেক্ষিতে বিহারে বিভিন্ন প্রতি সময় শরণংকর থের মহােদয়ের আগমনসহ বছরে দুইবার ব্যান অনুশীলন, গণপ্রব্রজ্যা বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুসংঘ অবস্থা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আজ অবধি। এবং দায়ক-দায়িকাৰন্দের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিটি অনুষ্ঠান সুচারুরূপে সম্পাদিত হয় মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিটি অনুষ্ঠান সুচারুরূপে সম্পাদিত হয়। তাই আপনাদের অংশগ্রহণে এ। আয়ােজনও সফলভাবে সমাপ্ত হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করছি।
আয়ােজনেঃ
পুজনীয় ভিক্ষুসংঘ/দায়ক-দায়িকাবৃন্দ ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি-ঢাকা অঞ্চল ।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহার, ১৬নং সেক্টর, উত্তরা ।
প্রয়োজনে। ০১৭১৭৪৪১০০১ ০১৮২৫১২৭২৯২, ০১৭১১৫৩১৪৭৪, ০১৭১১১১৯৫৯২ ।