পূজ্য বনভান্তেকে নিয়ে অলৌকিক ঘটনা
(স্বপ্নে কুকুর কামড়াতে চায়)
(স্বপ্নে কুকুর কামড়াতে চায়)
সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটা শ্রদ্ধেয় বনভান্তে দেশনালয়ে বই পড়ায় রত আছেন। উপাসক-উপাসিকাসহ আমি অরবিন্দু বড়ুয়া তাঁর সামনে নীরবে বসে আছি। আমার চোখে পড়ল বিহারের দক্ষিণ পাশে কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে কি যেন বলাবলি করছে। হাঁটতে হাঁটতে তারা দেশনালয়ের দিকে চলে আসল। দেবাশীষনগরের জৈনক লোক কতগুলো থালা ও বাটি বনভান্তের সামনে রেখে বলল, “ভান্তে,এগুলি আমি চুরি করিনি। আমাদের পাড়ার লোক থেকে অল্পদামে কিনে নিয়েছি। সে লোকটি প্রতিদিন বনবিহারে এসে কাজ করে।”তারপর বনবিহারের কুকুরের দিকে আঙুল দেখিয়ে বলল, “ভান্তে, এ কুকুরগুলি স্বপ্নে আমাকে কামড়াতে চায়। দুই-তিন রাত স্বপ্ন দেখে অনন্যোপায় হয়ে আপনার নিকট চলে এসেছি। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করুন। আমরা (স্বামী-স্ত্রী) যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারি মত আশীর্বাদ করুন।”
বনভান্তে তাকে অভয় দিয়ে বললেন, “যাও, আর কামড়াবে না।” এ ঘটনা দেখে আমি মনে মনে চিন্তা করলাম, এ রকম চুরি অনেক বিহারে হয়ে থাকে কিন্তু এরকম অলৌকিক প্রমাণ কোনোদিন আর দেখিনি। তাহলে তাদের পরকালে কি অবস্থা হবে?
লোকে যাহা বিষ বলে বিষ তাহা নয়।
সংঘের সম্পত্তি বিষ সম উক্ত হয়।
বারেক পানেতে বিষ বারেক মরণ।
সদা মৃত্যু সংঘদ্রব্য করিলে হরণ।
বনভান্তে তাকে অভয় দিয়ে বললেন, “যাও, আর কামড়াবে না।” এ ঘটনা দেখে আমি মনে মনে চিন্তা করলাম, এ রকম চুরি অনেক বিহারে হয়ে থাকে কিন্তু এরকম অলৌকিক প্রমাণ কোনোদিন আর দেখিনি। তাহলে তাদের পরকালে কি অবস্থা হবে?
লোকে যাহা বিষ বলে বিষ তাহা নয়।
সংঘের সম্পত্তি বিষ সম উক্ত হয়।
বারেক পানেতে বিষ বারেক মরণ।
সদা মৃত্যু সংঘদ্রব্য করিলে হরণ।
(তথ্যসূত্র: বনভান্তের দেশনা-১; পৃষ্টা নং ৮৬; লেখক: অরবিন্দু বড়ুয়া)