বারণসী রাজা ব্রম্মদত্তের সময় এক পুত্র ছিল। তার নাম ছিল দুষ্টকুমার। তার স্বভাবটা ছিল ঠিক নামের উপযুক্ত। দুষ্টকুমারের স্বভাব এতো নিষ্ঠুর ও ভীষণ ছিল যে, বারাণসী নগরের লোকেরা তাকে সব সময় ভয় করে চলত।
কারো সঙ্গে কোন কথা বলতে হলে দুষ্ট কুমার না হয় তাকে গালাগালি করত, না হয় প্রহার করত। সে রাজপুত্র বলে সবসময় মদমত্ত হয়ে চলত। কেও তার কথার উপর কোন কথা বলতে পারত না। তাকে দেখলেই সকলের মনে হত, একটা রাক্ষস জেন তাদের গ্রাস করতে আসছে।একদিন দুষ্ট কুমার জল ক্রীয়া করার জন্য অনুচরদের সঙ্গে নদী তীরে গেল। তারা নদীর জলে নেমে সকলে জল খেলায় মত্ত হয়ে উঠল। এমন সময় মেঘে মেঘে আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল এবং ভীষণ জড় উঠল। নদীর ঢেউ গুলো উথাল পাতাল করতে লাগল। কুমার তার অনুচরদের বলল, তোমরা আমাকে মাঝ নদীতে স্নান করিয়ে আন।তখন অনুচরগণ নিজেদের মধ্যে যুক্তি করে বলাবলি করতে লাগল, এই সুযোগে পাপিষ্ঠ তাকে মেরে ফেলি। তারপর রাজা জা করার করবেন। এতো অত্যাচার আর সহ্য হয় না। এর হাত থেকে অন্তত নিস্তার পাই।এই বলে তারা কুমারকে ধরে মাঝনদীতে নিয়ে জলের মধ্যে ফেলে দিয়ে নিজেরা তাড়াতাড়ি জল থেকে উঠে এলো।
কুমারের যে কয়জন সচিব নদীতীরে অপেক্ষা করছিল তারা এ ব্যাপারে কিছু জানত না। তারা অনুচরদের জিজ্ঞাসা করল কুমার কথায়?অনুচরেরা বলল, ঝড়বৃষ্টি দেখে হয়ত আগেই উঠে এসেছেন, হয়ত তিনি জড় জলের মধ্যে বাড়ি চলে গেছেন।
এরপর তারা রাজ বাড়িতে সবাই ফিরে গেলে রাজা তাদের কুমারের কথা জিজ্ঞাসা করলেন।অনুচরেরা বলল, মহারাজ, জল ক্রীয়া করতে করতে দারুণ জড় জল শুরু হওয়ায় আমরা তাঁকে দেখতে না পেয়ে ভাবলাম তিনি হয়ত জল থেকে উঠে একাই বাড়ি ফিরে এসেছেন। তাই আমরাও ফিরে এলাম।কিন্তু প্রাসাদে কোথাও কুমারকে পাওয়া গেল না। রাজা তৎক্ষণাৎ নিজে নদী তীরে গিয়ে চারদিকে খোঁজ করতে লাগলেন। অনুচরেরা তাঁকেও সাহায্য করতে লাগল। কিন্তু কোথাও খোঁজ পাওয়া গেল না কুমারের। তখন রাজা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে এলেন।এদিকে দুষ্ট কুমার স্রোতের টানে ভেসে জেতে লাগল অসহায়ভাবে। সে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে লাগল। এমন সময় এক্তি বড় কাঠ ভেসে আসছে দেখে তার উপর চেপে বসল। পরে দেখল, একটি সাপ, একটি ইঁদুর ও একটি শুকপাখি স্রোতে ভাসতে ভাসতে সেই কাঠের উপর এসে বসল। দুষ্টু কুমার স্থির হয়ে কাঠের উপর বসে রইল। কাঠ ভেসে যেতে লাগল স্রোতের টানে। ক্রমে সন্ধ্যা হয়ে এল। ঐ সাপ ও ইঁদুর পূর্বজন্মে কৃপণ বণিক ছিল। এই দুই জন বণিকই তাদের জীবিতকালে প্রচুর স্বর্ণ মুদ্রা অর্থাৎ একজন চল্লিশ কোটি ও অপ্র জন ত্রিশ কোটি নদীর তীরে এক জায়গায় গর্ত করে পুঁতে রাখে। মৃত্যুর পর ঐ ধন পাহারা দেবার জন্য তাদের একজন সাপ আর তাদের একজন ইঁদুর হয়ে সেই গর্তের মধ্যে বসে তাদের ঐ গুপ্তধন পাহারা দিতে থাকে। ঝর বৃষ্টিটিতে তাদের গর্তে জল ঢোকায় তারা বাইরে এসে নদীতে পরে গিয়ে ভাসতে ভাসতে ঐ কাঠের উপর উঠে বসে। শুকপাখিটি নদীর ধারে একটি গাছে বাস করত। প্রচণ্ড ঝরে গাছটি উপড়ে পরে নদীতে পরে যায়। তখন শুকপাখিটি ঝরের মদ্যে উরতে না পারায় নদীতে ভেসে যাওয়া ঐ কাঠের উপর বসে।এইভাবে একটি কাষ্ঠখণ্ডের উপর চারটি প্রাণী এসে আশ্রয় নেয়। ক্রমে রাত্রি হল। চারিদিকে অন্ধকারে ঢেকে গেল। যে সময়ে এই ঘটনা ঘটে, সেই সময় বধিসত্ত্ব এক ব্রাক্ষণ কুলে জন্ম নিয়ে পরে সন্ন্যাসী হয়ে ঐ নদীর তীরে এক জায়গায় এক পর্ণকুটিরে বাস করতেন। সেই রাত্রিতে তখন ঝর বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় তাঁর কুটিরের সামনে ইতস্ততঃ পায়চারি করছিলেন। এমন সময় তিনি রাজকুমারের আর্তনাদ সুন্তে পেলেন। তা সুনে তিনি ভাবলেন, দয়া দাক্ষিণ্যই আমার ব্রত। আমি থাকতে কোন প্রাণীর মৃত্যু হতে দেয়া উচিত নয়। আমি ওকে উদ্ধার করব।এই সংকল্প করে বোধিসত্ত্ব তখনি নদীর জলে ঝাঁপ দিয়ে সেই গুঁড়িটিকে সবলে টেনে তীরের কাছে আনলেন। তারপর রাজপুত্রকে ধরে তীরে উঠিয়ে আনলেন। তখন সেই গুরির উপর আর যে তিনটি প্রাণী ছিল তাদেরকেও একে একে তীরে উঠিয়ে আনলেন।পরে তাদের প্রত্যেককে পরম যত্ন সহকারে তাঁর আশ্রমে নিয়ে এলেন। আগুন জ্বেলে প্রথমে ইতর প্রানীদের এবং পরে রাজকুমারের দেহ সেকলেন। তারপর প্রথমে সাপ, ইঁদুর ও শুককে ও পরে রাজকুমারকে ফলমূল খেতে দিলেন।বোধিসত্ত্বের আচারণে ক্রুদ্ধ হলো দুষ্টকুমার। সে ভাবল আমি রাজপুত্র, আর অরা সব ইতর প্রাণী। অথচ সন্ন্যাসী ওদের আগে সেবা করছে।এই কারণে বোধিসত্ত্বের প্রতি দুষ্ট কুমারের মনে ক্রোধের সঞ্চার হলো। যাই হক দু এক দিনের মধ্যে ওরা সকলে সুস্থ হয়ে উঠল। বন্যার জল কমে গেল।একে একে তারা সকলে বিদায় নিল। প্রথমে সাপ বিদায় নেওয়ার সময় বোধিসত্ত্বকে বলল, প্রভু আপনি আমার বড়ই উপকার করেছেন। আমুক জায়গায় আমার অনেক ধন আছে। আপনার যখন প্রয়োজন হবে আপনি ওইখানে গিয়ে দীর্ঘা বলে ডাকবেন। আপনি ডাকলেই গর্ত হতে বের হয়ে আপনাকে সব ধন দিয়ে দেব।এরপর ইঁদুরও একই কথা বলল বোধিসত্ত্বকে। আপনি প্রয়োজন হলেই ওখানে গিয়ে ইঁদুর বলে ডাকবেন। আমি দাক শূনেই বেরিয়ে এসে ধন দিয়ে দেব।শুকপাখি বিদায় নেবার সময় বলল, প্রভু আমার ধন নেই, আমি ধান দিতে পারব। প্রয়োজন হলে ঐ গাছের তলায় গিয়ে শুক বলে ডাকবেন। আমি আমার জ্ঞাতি বন্ধুদের সাহায্যে রাশি রাশি ধান সংগ্রহ করে এনে দিব।রাজপুত্র দুষ্ট কুমার মনে মনে ভাবল, যদি একবার আমি এই সন্ন্যাসী কে হাতের কাছে পাই, তবে ওকে উচিৎ শিক্ষা দেবার পর ওর প্রাণ সংহার করব।কিন্তু সে মনের ভাব গোপন করে বলল, আমি রাজপদ পেলে আপনি সময় করে পায়ের ধুলো দেবেন। আমি যথাসাধ্য উপাচারে আপনার পূজা করব।একদিন বোধিসত্ত্ব এই চার প্রাণী দের মধ্যে কে কীভাবে তাঁর প্রতিজ্ঞা রাখে তা একে একে পরীক্ষা করে দেখার সংকল্প করলেন। তিনি প্রথমে সাপের কাছে গেলেন। সাপকে তিনি দীর্ঘা বলে ডাকতেই সাপ এসে সসম্ভ্রমে বলল, আপনাকে আমি এখনি আমার সব ধন এনে দিচ্ছি।বোধিসত্ত্ব বললেন এখন না, আমি প্রয়োজন হলে আসব।তারপর তিনি ইঁদুরের কাছে গেলেন। ইঁদুরকেও ইঁদুর বলে ডাকার সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে এসে বলল, আমি এখনি আমার আমার সব দ্গন এনে দিচ্ছি। বোধিসত্ত্ব বললেন এখন নয়, প্রয়োজন হলে এসে তা নিয়ে যাব।
এরপর তিনি নদীর ধারে সুখপাখির কাছে গেলেন। “শুক” বলে ডাকতেই শুক এসে বলল, আপনার কি ধান দরকার? তাহলে আমি তা যোগার করে অবিলম্বে আপনার কুটিরে পোঁছে দেব।
বোধিসত্ত্ব বললেন না এখন নয়, যখন প্রয়োজন হবে আমি এসে তোমায় বলব।
সবশেষে তিনি রাজবাড়িতে যাবার জন্য বারণসী নগরের পথে রওনা হলেন।
এদিকে পিতার মৃত্যুর পর দুষ্ট কুমার তখন রাজা হয়েছিলেন। যেদিন বোধিসত্ত্ব তার কাছে যাচ্ছিলেন সেদিন সে তার হাতির পিটে চড়ে নগর প্রদক্ষিণ করছিল। সে সহসা সেই সন্ন্যাসীকে দূর থেকে দেকতে পেয়েই ভাবল, ঐ সন্ন্যাসী একদিন আমার উপকার করেছে একথা যাতে কাউকে বলতে না পারে তার জন্য আগেই তার ব্যবস্থা করতে হবে।এই ভেবে সে তার কর্মচারীদের বলল, ঐ ভণ্ড সন্ন্যাসীকে এখনি বেঁধে মশানে নিয়ে যাও। ওকে চোঁরাস্তার মোড়ে মোড়ে দাড় করিয়ে প্রহার করবে। তারপর মশানে নিয়ে গিয়ে মাথা কাটবে। তারপর ধড়টাকে শূলে চড়াবে।রাজার লোকেরা বোধিসত্ত্বকে রাস্তার চোঁমাথায় নিয়ে গিয়ে যতই প্রহার করতে লাগল, বোধিসত্ত্ব কোনরূপ প্রতিবাদ না করে একটি গাথার মধ্যে দিয়ে বলতে লাগলেন, মানুষ আর কাঠ ভেসে যাচ্ছে, লকে বলে, মানুষ ভেসে যাক, কাঠ তুলে নাও। এখন বুঝেছি কথাটা খুবই সত্য। আমি কাঠ ছেঁড়ে মানুষকে তুলে এনে ভুল করেছি। কারণ কাঠই বেশী বেশী মূল্যবান।বোধিসত্ত্বকে যখন প্রহার করা হচ্ছিল তখন রাজপথের ওপর অনেক মানুষ ভিড় জমেছিল। তাদের মধ্যে কিছু বৃদ্ধ লোক ছিলেন। বোধিসত্ত্বকে প্রহার করার সময় তিনি বারবার ঐ একই কথা বলছিলেন। এতে বৃদ্ধ লোকদের মনে সন্দেহ জাগল। তাঁরা ভাবলেন, সন্ন্যাসীর একথা বলার পিছনে নিশ্চয়ই কোন কারণ আছে। তিনি হয়ত রাজার কোন উপকার করেছিলেন।এই ভেবে তাঁরা বোধিসত্ত্বকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি বারবার একই কথা বলছেন কেন?বোধিসত্ত্ব তখন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন। তিনি বললেন, একদিন সন্ধ্যার সময় এই রাজা একটি কাঠের ওপর বসে গঙ্গার স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছিলেন। তার আর্তনাদ শূনে আমি জলে ঝাঁপ দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করি। সেই কাঠের ওপর আরও তিনটি প্রাণী ছিল। তারা হল একটি সাপ, একটি ইঁদুর ও একটি শুকপাখি। আমি সকলকেই নিজের হাতে উদ্ধার করে আমার আশ্রমে নিয়ে আসি। তারপর তাদের সকলকে সেবা করে সুস্থ করে তুলি। কিন্তু ইতর প্রাণীরা মানুষের থেকে বেশি দুর্বল, তাই তাদের আগে সেবা করাই আমার উপর কুপিত হন রাজা। সেই ইতর প্রাণী তিনটি কিন্তু আজও আমার প্রতি কৃতজ্ঞ আছে। আম্র উপকারের কথা আজও ভোলেনি,আমাকে সাহায্য করতে চায়। অথচ এই রাজা আমার প্রাণ নাশ করতে উদ্যত হয়েছেন।বোধিসত্ত্বের এই কথা শূনে সেই বিজ্ঞ লোকেরা বলতে লাগ্লেন,আমাদের রাজা কিরকম দেখ। যে ব্যক্তি তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছে, রাজা তাঁরই প্রাণবধ করতে যাচ্ছে। যে অকৃতজ্ঞ পিশাচ উপকারীর উপকার স্বীকার করে না, তাঁর ক্ষমা নেই। তখন সমবেত জনতা ক্ষীপ্ত হয়ে উঠল। তখন তারা বলাবলি করতে লাগল, দুষ্ট রাজার দ্বারা আমাদের কোন কাজ হবে না, অতএব একে এক্ষনি মেরে ফেল।ওই বলে তারা তীর-ধনুক, লাঠি, বল্লম প্রভৃতি অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করল রাজাকে। নগরেরে সব অধিবাসীরা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করল। রাজা প্রজাদের জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য ভয়ে পালিয়ে গেল। রাজার সেনারাও এই পাপিষ্ঠ রাজাকে রক্ষা করল না। তাছারা তাঁর ভাবল, রাজ্যের প্রজারা যদি রাজাকে না চায় তাহলে আর তাদের বশীভূত করে রাখা যাবে না।প্রজাদের এই আক্রমনে রাজা হাতির পিঠ থেকে পরে গেলেন মাটিতে। তিনি তৎক্ষণাৎ প্রাণ ত্যাগ করলেন। বিক্ষুব্ধ প্রজারা রাজার মৃতদেহটাকে টেনে আবর্জনার মধ্যে ফেলে দিল। তারা তখন এক বাক্যে বলল এই তপস্বী এখন হতে এই রাজ্য শাসন করবেন।প্রজারা এই বলে তখনি বোধিসত্ত্বকে রাজপ্রাসাদে যথাসময়ে নিয়ে গিয়ে রাজপদে অভিষিক্ত করল। বোধিসত্ত্ব যথাধর্ম রাজ্যশাসন ও প্রজাপালন করতে লাগলেন। তিনি নিয়মিত দানাদি পুন্যকাজ করতে লাগলেন।কিছুকাল পর বোধিসত্ত্ব কয়েকজন অনুচরের সাথে প্রথমে সাপের কাছে গেলেন। তিনি গর্তের বাইরে দাঁড়িয়ে দীর্ঘা বলে ডাকলেন। তখন সেই সাপ বোধিসত্ত্বকে দেখে প্রনাম করল। বোধিসত্ত্বকে সে চল্লিশ কোটি স্বর্ণ মুদ্রা এনে তাঁর হাতে দিল।এরপর ইঁদুরের কাছে গেলে ইঁদুর ত্রিশ কোটি স্বর্ণমুদ্রা এনে বোধিসত্ত্বের হাতে দিল।সবশেষে শুকপাখিকে ডাকতেই সে এসে করজর করে বলল, আমি ধন সংগ্রহ করে এনে দেব।
বোধিসত্ত্ব বললেন প্রয়োজন হলে বলব।এই ভাবে তিনি সাপ, ইঁদুর ও শুকপাখিকে তিনি রাজপ্রাসাদে নিয়ে গেলেন। তারপর তাদের পরম যত্নের সাথে প্রতিপালনের ব্যবস্থা করলেন। সাপ ও ইঁদুরের জন্য শোবার গর্ত ও সুড়ঙ্গ নির্দিষ্ট করে দিলেন। আর শুকপাখির জন্য তৈরি হলো শোবার খাঁচা। সাপ ও শুকের আহারের জন্য মধু মিশ্রিত খই আর ইঁদুরের জন্য সুগন্ধি আতপ চাল যোগার করে দিলেন বোধিসত্ত্ব।এইভাবে বোধিসত্ত্ব সাপ , ইঁদুর শুকপাখি ও প্রভৃতি ইতর প্রাণীর সাথে মৈত্রী নীতির সঙ্গে দিন জাপন করতে লাগলেন। বোধিসত্ত্ব রাজ্যের প্রজাদের নিজ সন্তানের মত স্নেহ করতেন। অবশেষে যথাকালে ভবলীলা সংবরন করে নিজ কাজের ফলভোগের জন্য স্বর্গলোক গমন করলেন।
সুত্র ঃ জাতকসমগ্র