বারাণসীর রাজা ব্রম্মদত্তের সময়ে বোধিসত্ত্ব একবার বাজিকরকুলে জন্মগ্রহন করেছিলেন। বড় হয়ে তিনি জ্ঞানবান ও উপায় কুশল হয়েছিলেন। সেই বাজিকরেরা গাড়ীর উপর দাঁড়িয়ে নাচত ও খেলা দেখাত।

বোধিসত্ত্ব এক বাজিকরেরকাছে শক্তিলঙ্ঘন বিদ্যা শিক্ষা করেছিলেন। পরপর কয়েকটি সাজানো ধারালো অস্ত্র লাফ দিয়ে পার হবার কৌশল আয়ত্ত করে সেই খেলা দেখিয়ে জীবিকা অর্জন করতেন বোধিসত্ত্ব । তাঁর বাজিকর শিক্ষক চারটি অস্ত্র লঙ্ঘনের কৌশল জানতেন।

একদিন ঐ আচার্য বাজিকর বোধিসত্তকে সঙ্গে নিয়ে কোন এক গ্রামে খেলা দেখাতে গিয়েছিলেন। তখন তিনি মদের নেশায় মত্ত ছিলেন। তিনি সবাইকে বললেন, তিনি পাঁচটি অস্ত্র লঙ্ঘন করবেন। তাই তিনি পর পর পাঁচটি অস্ত্র সাজিয়ে রাখলেন।

তা দেখে বোধিসত্ত্ব আচার্যকে বললেন, আপনি পাঁচটি অস্ত্র লঙ্ঘন কৌশল জানেন না। এক্তি অস্ত্র তুলে নিন। না হলে পঞ্চম অস্ত্রের দ্বারা আপনি বিদ্ধ হবেন। তাতে আপনার মৃত্যু ঘটবে।

কিন্তু বোধিসত্ত্ব নেশার ঝোঁকে বোধিসত্ত্বের কথা সুনলেন না। তিনি বললেন তুমি আমার ক্ষমতা জান না।

এই বলে তিনি খেলা দেখাতে শুরু করলেন। তিনি চারটি অস্ত্র ভালভাবে লঙ্ঘন করলেন, কিন্তু পঞ্চম অস্ত্রটি লঙ্ঘন করতে গিয়ে তার উপর পরে গেলেন তিনি। ধারল অস্ত্রের অগ্র ভাগে তাঁর দেহটি বিদ্ধ হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু ঘটল।

বোধিসত্ত্ব তাঁর আচার্যের দেহটি তুলে সৎকার করলেন। তারপর এক্তি গাথার মাধ্যমে বললেন, আমার নিষেধ না শুনে মদ্মত্ত হয়ে পঞ্চম চেষ্টা করতে গিয়ে পঞ্চত্বপ্রাপ্ত হলো।

সুত্র ঃ জাতকসমগ্র

error: Content is protected !!